মহাকাশে ভ্রমণের পর পৃথিবীতে হাঁটতে কেমন?

মহাকাশ ভ্রমণ এমন কিছু মানুষ যার স্বপ্নও দেখে। তবে স্বপ্নটি পূরণ হবে এমন আশাবাদী মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে হাতেগোনা।  যদিও একজন মহাকাশচারী জন্য এই ভ্রমণ একেবারেই ভিন্ন, একটি 'বল গেইম'। একদিকে, সেখানে যেতে হয় কঠোর প্রশিক্ষণ সেশনের ভেতর দিয়ে, অন্যদিকে, যখন সে পৃথিবীর মাটিতে ফিরে আসে, তাকে অনেক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। একটি ঘোরের ভেতর দিয়ে অতিক্রম করতে হয় পৃথিবীতে ফিরে আসা একজন মহাকাশচারীকে। এ সময় মাটিতে হাঁটার মতো সরল কাজটিকেও অনেক চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হয় তার জন্য। মহাকাশচারী এ জে (ড্রিউ) ফিউস্টেল টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এতে তাঁকে দেখা যায় মহাকাশে স্পেস টেস্ট এক্সপেরিমেন্ট চলাকালে। দেখা যায়, সেখানে ভারসাম্য রক্ষায় তিনি কীভাবে সংগ্রাম করছেন। এ জে ফিউস্টেল মহাকাশযান 'এক্সপেডিশন ৫৬'-এর কমান্ডার ছিলেন। এটি তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনের ৯ম মহাকাশ ভ্রমণ ছিল। এই সময় তিনি মোট ৬১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট হেঁটেছেন সেখানে। মহাকাশে নভোচারীরা পেশির ভর ও হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখতে প্রতিদিন দুই ঘণ্টার ব্যায়াম করেন। কিন্তু পৃথিবীর বুকে ফিরে মধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য আনা একটি বিশাল কাজ। পৃথিবীতে ফিরে ধারাবাহিক ডাক্তারি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় মহাকাশচারীদের। মহাকাশে থাকার সময় সেখানকার পরিবেশ তাদের শরীর কীভাবে গ্রহণ করেছিল সিরিজ পরীক্ষায় তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহাকাশে প্রায় ১৮০ দিন কাটানোর পর এ জে ফিউস্টেলের পেশি শক্তি ১১-১৭%, পেশির সহনশীলতা ১০% এবং হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ২-৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

Comments

Popular Posts